বিডি ল নিউজঃ আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন।
খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আপিল করেছিল। দুটি আপিলই খারিজ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ফলে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রইল।
আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে পেপারবুক প্রস্তুত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে আপিল (দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল) আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক আপিলের ওপর শুনানি শেষে ৯ মে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ১৫ মে দিন রেখেছিলেন। এদিন (১৫ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ফের যুক্তিতর্ক করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। পরে তাঁর যুক্তিতর্ক শুনে আজ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ।
মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে আদালত তাঁকে এই দণ্ডাদেশ দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে, যা আপিল বিভাগ মঞ্জুর করেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনও স্থগিত হয়। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ৮ ও ৯ মে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দুদক, রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ১৫ মে অ্যাটর্নি জেনারেল ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
Discussion about this post