নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেবেন।
আজ রবিবার (১১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন।
এ জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আজকের কার্যতালিকায় আবেদনটি এক নম্বরে রাখা হয়েছে। এ মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদালত কী আদেশ দেন, এতে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন কিনা তা জানতে সবাই আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে নথি আসার সময়সীমা শেষ হয়েছে বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনেন গত বৃহস্পতিবার। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আজ রোববার দিন ধার্য করেন। এরপর থেকেই সবার অপেক্ষা বাড়ছে। বিচারপতিরা কী আদেশ দেবেন তা জানতে দলের নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষ উন্মুখ হয়ে আছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, এ মামলায় জামিন হবে বলে তারা আশাবাদী। দুদকের মামলায় ৫-১০ বছরের সাজা হলেও আসামির জামিনের নজির আছে। অন্য কোনো মামলায় যদি নতুন করে গ্রেফতার দেখানো না হয় তবে জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে বাধা নেই বলেও তারা জানান।
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদালত কী আদেশ দেন তা রোববারই জানা যাবে। নথি আসার সময় এখনও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন শুক্র ও শনিবার কার্যদিবসের হিসাব থেকে বাদ দেয়া হলে ১৫ দিন শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আর যদি শুক্র ও শনিবার ধরে হিসাব করা হয় তবে মেয়াদ শেষ হবে আজ রবিবার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়। ২২ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য রাখেন আদালত। আদেশে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি তলব করে ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত বলেছিলেন বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন।
জামিন বিষয়ে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্য কোনো মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাবেন না। আমরাও আশা করছি তাই।’ তিনি বলেন, দুদক যেহেতু সাজা বৃদ্ধির কোনো আবেদন করেনি সেহেতু আমরা আশা করছি খালেদা জিয়ার জামিন হলে তারা (দুদক) আপিলে যাবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য।
Discussion about this post