নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি হয়নি। আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করলে চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত এ মামলার অস্থায়ী এজলাসে এ মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিত না হওয়া তার আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূইয়া এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলাটি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে দ্বিতীয় নম্বর ভবনে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের এজলাসে বিচারাধীন।
এর আগে মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
Discussion about this post