নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়কে ‘একতরফা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তার আইনজীবী মো. সানাউল্লাহ্ মিয়া। তিনি বলেন, এটা (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট) প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে সরকারের কোনো টাকা নেই, এটা মামলাই হয় না। আজকে জোর করে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এই সাজা। এর বাইরে এ মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারবোনা।
তিনি আরও বলেন, এগুলো সব এক তরফা রায়। এই এক তরফা রায়ের বিষয়ে কী করবে না করবে সে বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই সাজার বিষয়ে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, সেটা এ মূহূর্তে বলতে পারবো না। রায় পাইনি এখনো। রায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির আরেক মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।
মামলার অপর তিন আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post