ইকবাল সোবহান বলেন, আজ দেখলাম খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে বলছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, এই সরকার অবৈধ।’
খালেদার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে (খালেদা) আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন তো সেই নির্বাচনে তিনি আসেননি। এই সরকার গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারকে অবৈধ বলার মাধ্যমে খালেদা জিয়া নিজে ও তার দলকে অবৈধ প্রমাণ করেছেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। গণতন্ত্র থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব, আর উন্নয়ন হলে গণতন্ত্রের সঠিক বিকাশ সম্ভব। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে এ তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আমাদের বড় শত্রু। এদের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রতিহত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেনে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যাবেন। শেখ হাসিনাই পারেন, শেখ হাসিনাই পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য সম্পাদিত ও শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ছবি স্থান পেয়েছে। একই সঙ্গে তার বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক শফি আহমেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোর বিরোধীরাও এখন বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। সরকারি বিভিন্ন চাকরিতে তদবিরের জন্য বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরাও এখন আওয়ামী লীগার সাজছেন।
এসব ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগ’ থেকে সত্যিকারে আওয়ামী লীগারদের সর্তক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া।
Discussion about this post