আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সাক্ষাৎকারে খাশোগি হত্যাকাণ্ডে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে।
ট্রাম্প বলেন, খাশোগি হত্যার ঘটনায় আমি মোহাম্মদ বিন সালমানকে বারবার ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে প্রশ্ন করেছি। তাকে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল- এ হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনি কিছু জানতেন? জবাবে তিনি বলেছেন- তিনি কিছুই জানেন না।
‘তাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল- কোথা থেকে এটি শুরু হয়েছে? তখন তিনি বলেছেন- এটি খুবই নিম্নপর্যায় থেকে শুরু হয়েছে।’ এই অস্বীকারকে তিনি বিশ্বাস করেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি তাদের বিশ্বাস করতে চাই। সত্যিকার অর্থে আমি তাদের বিশ্বাস করতে চাই।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ সৌদি নাগরিকের মার্কিন ভিসা বাতিল কিংবা অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর পর থেকে এসব সৌদি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
খাশোগি হত্যার ঘটনাকে পরিকল্পিত নির্মম হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে দায়ীদের সাজা দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, ঘাতকরা যত উচ্চপর্যায়েরই হোক তাদের সবাকেই শাস্তি পেতে হবে।
সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম না নিলেও এরদোগান বলেন, খাশোগি হত্যার নির্দেশ যিনি দিয়েছেন তাকেও জবাবদিহি করতে হবে। ক্রাউন প্রিন্সই সৌদি সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ধারণা মার্কিন কয়েকজন আইনপ্রণেতার।
এরদোগান বলেন, সৌদি আরব প্রশাসন খাশোগি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আমরা আশা করব, এ ঘটনায় ওপর মহল থেকে নিচ পর্যন্ত দায়ী সবার মুখোশ তারা খুলে দেবে এবং তাদের সমুচিত সাজা দেবে।
তবে সৌদি আরব প্রথমে তা অস্বীকার করে এবং ঘটনার ১৭ দিন পর খাশোগি খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু খুনের ঘটনা নিয়ে দেশটি একাধিকবার বিবৃতি পাল্টেছে। মরদেহ কোথায় আছে তাও জানা নেই বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
Discussion about this post