একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ (৭৫) সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
মামলার অপর ছয় আসামি হলেন মোজাহার আলী শেখ (৬৫), মো. সহর আলী সরদার (৬৫), মো. আতিয়ার রহমান শেখ (৭০), মো. মোতাছিম বিল্লাহ (৮০), মো. কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৬০)।
এদের মধ্যে মো. নজরুল ইসলাম পলাতক এবং অপর আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আশরাফ শেখ (৮০) নামে এক আসামি গ্রেফতারের পর মারা গেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করে ৮ আগস্ট এর কার্যক্রম শেষ করেন। প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালে খুলনা জেলার রাজাকারের তালিকা, ট্রেনিংয়ের দলিলপত্র, সংবাদপত্রসহ সাত ভলিয়মে মোট এক হাজার ২৭ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৪১ জনকে।
মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রস্তুত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সংস্থার সমন্বয়ক এম. সানাউল হক।
আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. সানাউল হক আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন গুলি করে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও অপহরণের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, সাতজনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার বছিয়াঘাটা ও দাকোপ এলাকায় হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাসহ আটজন হত্যা, অসংখ্য বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আসামিদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সানাউল হক ট্রাইব্যুনালে যেসব মামলা বিচারধীন আছে তা নিষ্পত্তি করতে দুইটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
Discussion about this post