নিজস্ব প্রতিবেদক: ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনিতে বাড্ডায় নিহত রেণুসহ অন্যদের বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
এর আগে ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে গণপিটুনিতে রেণু নিহত হন। ওই ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেণুর পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে গণপিটুনিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে পৃথক আইন তৈরির নির্দেশনার পাশাপাশি গণপিটুনির হাত থেকে রেণুকে বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এছাড়া গুজব সংক্রান্ত সব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলারও নির্দেশনা চাওয়া হয়। এই রিটে বিবাদী করা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ওসিকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্কুলটিতে নিজের চার বছরের মেয়ের ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তার ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাবার সঙ্গে থাকে।
Discussion about this post