গণভোটে উতরে গেল থাইল্যান্ডের সেনা-সংবিধান। সামরিক সরকারের মনোনীত কমিটির তৈরি করা নতুন ওই সংবিধানের বিপরীতে গতকাল রোববার গণভোট হয়। এতে সংবিধানটি অনুমোদনের পক্ষে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।
ফলে ২০১৭ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে সরকারকে সামরিক বাহিনীর নির্দেশিত পথেই দেশ চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন পর্যবেকরা। কিন্তু সরকারবিরোধীরা বলছেন, এই গণভোট হলো- জনবিচ্ছিন্ন ও উদ্দেশ্যমূলক। হারের পেছনে জান্তা সরকারের ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করছেন তারা। জান্তা সরকার আগেই দাবি করেছিল, গণভোটে নতুন সংবিধান অনুমোদিত হলে পূর্ণ গণতন্ত্রে ফেরার জন্য তা একটি বড় পদক্ষেপ হবে। কিন্তু প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ থাকায় গণভোটকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছেন সরকারবিরোধীরা। গণভোটের আগেই দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নতুন সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। এ গণভোট জান্তা সরকারের নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চানওচার জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল। যিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত দুবছর ধরে দেশটির রাজনৈতিক কার্যকলাপ দমন করে রেখেছেন। জনগণ নতুন সংবিধান প্রত্যাখ্যান করলেও অবশ্য পদত্যাগ করবেন না বলে জানান প্রায়ুথ। আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গণভোটের আগে করা এক জরিপেও বলা হয়েছিল, ভোটের ফল সামান্য ব্যবধানে হলেও নতুন সংবিধানের পে যাবে। সেই অনুমানই সত্যি হলো। গণভোট উপলক্ষে দেশজুড়ে দুই লাখ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কোথাও কোনো প্রতিবাদ বা গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিপ্তি সহিংসতা চলার পর ২০১৪ সালে থাই সামরিক বাহিনী রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মতা দখল করে। পুরনো সংবিধান বাতিল করে জান্তা সরকার। সূত্র: বিবিসি।
Discussion about this post