বিডি ল নিউজঃ গর্ভপাত সবসময় যে ইচ্ছাকৃত ভ্রুণ হত্যার জন্য করা হয় তা নয়, কখনো কখনো তার মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়েও করা হয়, করা হয় অর্থনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে। তবে, অনেকেই আবার সামান্য সচেতনতার অভাবেও যে এমন কাজ করতে বাধ্য হয়, তাও কিন্তু মিথ্যা নয়। তবে, কখনো কখনো স্বেচ্ছায় আত্মদান যেমন কিছু দেশে বৈধ্যতা দিচ্ছে, গর্ভপাতের বেলায়ও কিছুটা ছাড় চাচ্ছে আয়ারল্যান্ডের নাগরিকরা। আইরিশরা গর্ভপাতবিরোধী আইন শিথিল করার পক্ষে ঢালাওভাবে ভোট দিয়েছেন। সিএনএন জানায়, বুথফেরত সমীক্ষায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানে প্রায় সব ধরনের গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বুথফেরত সমীক্ষা প্রকৃত ব্যালট গণনার ভিত্তিতে প্রণীত হয়নি। সরকারি গণনা আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) শুরু হবে। অষ্টম সংশোধনী ১৯৮৩ সালে গণভোটের পর সংবিধানে যুক্ত করা হয়। ওই বিধান ভ্রূণের অধিকার ও মায়ের অধিকারকে সমান মর্যাদা দান করে। এর ফলে কার্যকরভাবে মায়ের জীবনের ‘প্রকৃত ও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায়ও গর্ভপাত নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
গণভোট পাস হলে আইরিশ আইনপ্রণেতারা নতুন আইন প্রণয়ন করবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়, যা গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে এবং মায়ের জীবনের ঝুঁকি থাকলে বা ভ্রূণ রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে পরেও গর্ভপাতের অনুমতি দেবে।
Discussion about this post