মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মতিউর রহমান নিজামী ফাঁসি কার্যকরের সময় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি, পুরো সময় ছিলেন নির্বিকার। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যেতে তাকে কোনো জোর-জবরদস্তিও করতে হয়নি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) শেখ নাজমুল আলম, যিনি ফাঁসি কার্যকরের সময় ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি হিসেবে ফাঁসির মঞ্চে ছিলেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির নিজামীকে। সে সময় অন্যদের সঙ্গে ফাঁসির মঞ্চে দায়িত্বরত ছিলেন শেখ নাজমুল আলম।
তিনি বলেন, কনডেম সেল থেকে বের করে আনার সময় স্বাভাবিকভাবে হেঁটে এসেছেন নিজামী। তাকে কোনো জোর-জবরদস্তি করতে হয়নি। যমটুপি থেকে শুরু করে গলায় ফাঁসির দড়ি গলায় পরানোর সময় পর্যন্ত নির্বকার ছিলেন তিনি। কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী জামায়াতের কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীকে।
Discussion about this post