দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম মায়া আক্তার মিলি (৮)।
নিহত মিলি গাজীপুর মহানগরীর দাখিনখান পূর্বপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী কামাল হোসেন তফদারের মেয়ে এবং স্থানীয় হায়দরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের মা ফজিলত বেগম ফাতেমা (৪০) ও বোন নাসিমা আক্তার (২২) কে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রহমতউল্লাহ মনা (১৮) পলাতক রয়েছে।
নিহত শিশুর পিতা কামাল হোসেন তফদার জানান, তার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী বড় ভাই কালাম হোসেনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে মিলির মা সালমা স্থানীয় গার্মেন্টসে, বড় বোন সাদিয়া আফরিন রুনা স্কুলে এবং তিনি কাজের উদ্দেশে অন্যত্র চলে যান। দুপরে তিনি কাজ থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে ফের কাজে চলে যান। তখন মিলি বাড়িতে একাই ছিলো।
সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরে শুনেন ছোট মেয়ে মিলিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তিনি ও পরিবারের লোকজন মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি ও মাইকিং করেন। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজা বখাটে রহমতউল্লাহ মনাদের বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকির স্লাব সরানো দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে সেফটিক ট্যাংকির স্লাব সরিয়ে নিচে বাঁশ দিয়ে নাড়া দিলে মিলির লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে হাত, পা ও গলায় রশি বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধার কালে শরীরের নিম্নাংশে কোন কাপড় ছিলনা।
জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, নিহতের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। তা থেকে ধারনা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার গালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে নিহতের পিতা কামাল হোসেন তফদার বাদি হয়ে তার ভাতিজা রহমতউল্লাহ মনাসহ তিনজনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই মামলার আসামি ধর্ষক রহমতউল্লাহ মনার মা ফজিলত বেগম ফাতেমা (৪০) ও তার বোন নাসিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ধর্ষক রহমতউল্লাহ মনা পলাতক রয়েছে।
Discussion about this post