নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শনিবার কমিশনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসতে পারে।
সাপ্তাহিক বন্ধের এ দিনটিতে কমিশন সভায় বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে সভার জন্য এ সংক্রান্ত কার্যপত্র প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
ওই কার্যপত্রে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য কোনো দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। এইচএসসি পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করে মে’র প্রথমার্ধে এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
এর আগে গাজীপুরসহ পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনে কোনো জটিলতা নেই বলে ইসিকে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে কমিশন। কমিশন সভায় তফসিল ও ভোটগ্রহণের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া সিলেটের ৮ অক্টোবর, রাজশাহী ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন অনুযায়ী কর্পোরেশনের প্রথম বৈঠক থৈকে পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে।
আইন অনুযায়ী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন গণনা ৮ মার্চ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দিন গণনা ৩০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এ কারণে কমিশন এ দুটি সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। দুই সিটিতে আগামী রোজার ঈদের আগেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে। আর সিলেট সিটিতে ১৩ এপ্রিল ও বরিশাল সিটির ২৭ এপ্রিল থেকে নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।
এ তিন সিটির নির্বাচন ঈদের পর করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। যদিও ২০১৩ সালের ১৫ জুন একই দিন সিলেট, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল এবং ওই বছরের ৬ জুলাই গাজীপুর সিটির নির্বাচন হয়েছিল।
জানা গেছে, গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন মে’র দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে করতে চায় কমিশন। কিন্তু ওই সময় এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় সে বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে ইসির।
এ নিয়ে ইসির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় রেখে এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনি জটিলতায় তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কমিশনকে কোনো বিতর্কে বা সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইসিকে জানিয়েছে, পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে সীমানাসংক্রান্ত বা আইনগত কোনো জটিলতা নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগের এ চিঠির পরিপেক্ষিতে এখন নির্বাচনের আয়োজন করতে কোনো সমস্যা দেখছে না ইসি।
Discussion about this post