গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ট্রেড লাইসেন্স বিতরণে প্রতি ট্রেড লাইসেন্সে গ্রাহকের কাছ থেকে বেশী টাকা নেয়া হয় এমন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম আজ বেলা দুটায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অভিযান চালায় । অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক রেজাউল করিম জানান প্রতি ট্রেড লাইসেন্সে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা বেশী নেয়ার প্রমাণ আমরা পেয়েছি । গ্রাহককে টাকা জমা দেয়ার সাথে সাথে টাকার রসিদ দেয়ার কথা থাকলেও লাইসেন্স কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ ও তার অধীনস্ত কিছু কর্মচারীর সমন্বয়ে প্রতি লাইসেন্সে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা বেশী নিয়েেআবেদন পত্রের সাথে রসীদ না দিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার সময় টাকার রশিদ গ্রাহককে বুঝিয়ে দেন ! এতে করে গ্রাহকও অনেক সময় বুঝতে পারেনা কত টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে কত টাকা অন্যের পকেটে যাচ্ছে!
দুদকের অনুসন্ধানকালে নথিপত্র যাচাই বাছাইকালে ধরা পড়েন এই লাইসেন্স কর্মকর্তা । অতঃপর দুদকের সহকারি পরিচালক রেজাউল করিম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যপারে নির্দেশ প্রদান করেন ।
এ সময় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান এবং দ্রুত শাস্তি প্রদানের নিশ্চয়তা দেন এবং তিনি বলেন সাধারণ জনগণের টাকা কেউ হাতিয়ে নিলে তার বিরুদ্ধে সকল ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
নিজস্ব সংবাদদাতা
Discussion about this post