সিলেটের গীতিকবি জবান আলীর করা গান নিয়ে প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী গীতিকার কবির বকুল। বাদীপক্ষের আইনজীবী কামাল হোসেন ও জুনেদ আহমদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর আমলগ্রহণকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে লিখিত আবেদন দাখিল করে জামিন প্রার্থনা করেন কবির বকুল। বিজ্ঞ বিচারক মুহাম্মদ শহীদুল আমীন তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে অপর আসামি চলচ্চিত্র পরিচালক পূর্ণেন্দু আচার্য কাজল ওরফে পি এ কাজল এখনো পর্যন্ত জামিন আবেদন করেননি।
প্রসঙ্গত, গান নিয়ে প্রতারণার মামলায় গত ১ ডিসেম্বর গীতিকার কবির বকুল ও চলচ্চিত্র পরিচালক পূর্ণেন্দু আচার্য কাজল ওরফে পি এ কাজলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
পরোয়ানা জারি করার পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় (২ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ এসে মামলার বাদি গীতিকার জবান আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন কবির বকুল। জেলা শহরের প্রয়াত আইনজীবী ও গীতিকার জহির আহমদ সোনা মিয়ার বাসভবনে তাদের ঘন্টাব্যাপী আলোচনা চলে। এসময় বাদীপক্ষের দুই আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা শহরের হাছননগর এলাকার বাসিন্দা গীতিকার বাউল জবান আলী আমল গ্রহলকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সুনামগঞ্জ সদর) একটি মামলা দায়ের করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন ও জুনেদ আহমদ শুনানিতে অংশ নেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয় বাউল জবান আলী রচয়িত ‘প্রেমের মানুষ ঘুমাইলে চাইয়া থাকে’ গানটি জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ তার ‘রোদেলা দুপুর’ অ্যালবামে গেয়েছিলেন। বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টেলিভিশনে গানটি প্রচারিত হয়েছিল। তার এই গানটি চলচ্চিত্র পরিচালক পিএ কাজল তার পরিচালিত ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’ ছবিতে ব্যবহার করেন। জবান আলীর অনুমতি না নিয়ে গীতিকার কবির বকুল গানটির অনেক শব্দ পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন।
এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে এই দুইজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন। সূত্র: জাগো নিউজ
Discussion about this post