এ সংক্রান্ত সোমবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামাই ছিল মূল টার্গেট। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই মূলত সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। অন্যরা গামার আশপাশে থাকায় পরিস্থিতির শিকার হয়ে মারা যান।
তিনি জানান, বাড্ডায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল, সেটি কোনো আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার জন্য ঘটানো হয়নি। এর পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। মূলত ঝুট ব্যবসা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
বাড্ডার ওই ঘটনায় রোববার রাতে আহত আবদুস সালাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তা শেখ নাজমুল আলম বলেন, হ্যাঁ, আমরা শুনেছি, বাড্ডার ঘটনায় আরো একজন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজন নিহত হলেন।
মামলার তদন্তে অগ্রগতির অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা গ্রেফতার দুজনের কাছ থেকে আটজনের নাম পেয়েছি। তাছাড়া আরো অজ্ঞাতপরিচয় দুই/একজন জড়িত আছেন, যাদের নাম আমরা এখনো পাইনি।
এ ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত ছিলেন, সে ব্যাপারে ডিসি বলেন, তদন্ত কজে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি এবং গ্রেফতারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সমন্বয় করে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যাদের নেতৃত্বে হত্যাপূর্ব মিটিং হয়েছিল, তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারলে এই ঘটনার নেপথ্যের লোক এবং মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
গত ১৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে বাড্ডার লিংক রোডের আদর্শনগরের ওয়াসার পানির পাম্পের মধ্যে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের চার নেতাকর্মী গুলিবদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ১০টায় মানিক, শামসুদ্দীন মোল্লা মারা যান।
পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামাও মারা যান।
Discussion about this post