বিডিলনিউজঃ
যুদ্ধাপরাধ মামলায় আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব ও ঘৃণা প্রস্তাব আনায় গর্জে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ। তারা গুলশানে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করে জুতা নিক্ষেপ করে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। তবে কোনো রকম ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। পুলিশের লাঠিপেটায় ৩ জন আহত হন। এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাওসহ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে। সংগঠনের আহ্বায়ক ডাক্তার ইমরান এইচ সরকার আজ বুধবার রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ বেলা ৩টায় গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে সমবেত হয় হাজার হাজার মানুষ। সেখানে উপস্থিত হন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, প্রজন্ম একাত্তরসহ বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী-সর্মথক। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরো এলাকায় মোতায়েন করা হয় শত শত পুলিশ আর র্যাব। বিকাল ৩টায় বিপুল সংখ্যক লোক পাকিস্তান দূতাবাসের দিকে রওনা হলে কয়েক দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন পর পর ৪টি ব্যারিকেড ভেঙে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে যেতে সক্ষম হয়। সেখানে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দূতাবাস লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে। বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুসহ তিনজন আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারী জনতা অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আগামীকাল একই সময়ে একই জায়গায় সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে।
Discussion about this post