রাজধানীর গুলশান থেকে কূটনৈতিক সুবিধায় আনা এক কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ গাড়ি আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। গাড়িটি ইন্টারন্যাশনাল রিলোকেশন অ্যাসিসটেন্স সার্ভিসেস ও কালাম রিয়েল এস্টেট সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সালমান কালামের কাছ থেকে আটক করা হয়।
রবিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে গাড়িটি আটক করা হয়। কালো রঙের গাড়িটির বাজার মূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।’
ড. মইনুল খান জানান, গাড়িটি কূটনৈতিক সুবিধায় বাংলাদেশে নিয়ে আসেন জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিপার্টমেন্ট অব সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি (ইউএনডিপি) বিভাগের পরামর্শক সন্তোষ ধুঙ্গানা। তিনি নেপালী নাগরিক। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এই পরামর্শক।
গাড়িটির সম্পর্কে সালমান কালাম শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, ‘গাড়িটির বিষয়ে ইউএনডিপির কর্মকর্তা মেজর শরীফ অবগত আছেন।’
শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, গাড়িটিতে কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহার করা হয়েছিল। গাড়ির চেসিস নম্বর সংগ্রহ করে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাড়িটি বাংলাদেশে ‘প্রিভিলেজড পারসন’ কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি না করেই ধুঙ্গানা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
ধুঙ্গানা গাড়িটি অবৈধভাবে বর্তমান ব্যবহারকারীর (নন-প্রিভিলেজড পারসন) কাছে হস্তান্তর করে এর মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়েছে, এমন তথ্য ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। যা শুল্ক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, আমাদের ক্রমাগত অভিযানে গাড়িটি প্রায় ছয় মাস ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দারা আটক করে। এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post