গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে হামলা তদন্তে তিন দেশ থেকে প্রযুক্তি সহায়তা নেবে পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে এ সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের জঙ্গি দমনে প্রশিক্ষিত বিশেষ ইউনিট গুলশান হামলায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওই তিন রাষ্ট্রের সহায়তা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূলত গুলশান হামলায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সব আলামত পরীক্ষা এবং নিহতদের মৃতদেহের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ওই তিন দেশের প্রযুক্তি সহায়তা নেয়া হবে।’
কমিশনার বলেন, ‘গুলশানের এ হত্যা একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সম্মিলিতভাবেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
ভবিষতে এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে ‘ওয়ে অব অ্যাকশন’ আর ‘মুড অব অ্যাকশন’ ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান মিয়া।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের কূটনীতিক পাড়ার অভিজাত এই রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ যায় ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানের।
পরদিন শনিবার (২ জুলাই) সকালে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে এবং ৬ জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার ঠিক ৭ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ও সন্ত্রাসী আবির নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরো অন্তত ৮ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ পুলিশ সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়।
Discussion about this post