বাগেরহাটে যৌতুকের দাবিতে রুনা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারের একটি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুনা খাতুন সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের লাউপালা গ্রামের মুদি দোকানী সাইফুল শেখের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে সাইফুল শেখ পলাতক রয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-নিহত গৃহবধূর শ্বশুর আব্দুস সালাম, শাশুড়ি তারু বেগম ও ননদ লাকি আক্তার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের আটক করেছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে লাউপালা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের ছেলে মুদি দোকানী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের ওহিদ শেখের মেয়ে রুনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় রুনার ওপর নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার সলিশ বৈঠক হয়।
নিহতের বাবা ওহিদ শেখ বলেন, বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবি করে আসছিল। আমি গরীব মনুষ। এরপরও এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে আরো যৌতুকের জন্য মারধর করে। এখন তো মেয়েটাকে তারা মেরেই ফেলছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূ রুনাকে যাত্রাপুর বাজারের একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেছে সে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা নিহতের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবেবলে জানান ওসি।
Discussion about this post