বিডি ল নিউজঃ গোখাদ্যের নামে ভারত হতে ঢালাওভাবে চাল আমদানির অভিযোগ করেছেন চাতাল ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী, এ কারণে দেশিয় ধান ও চালের দাম কমে গেছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়ে ঈশ্বরদীর ছয় শতাধিক ধানের চাতাল ও হাসকিং মিলের (ক্ষুদ্র শিল্প) ৮০ ভাগই প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম বলে খ্যাত ঈশ্বরদীর জয়নগর মোকামে স্থবিরতা বিরাজ করছে। সেখানে কেনা-বেচা নেই বললেই চলে। স্থানীয় চাতাল মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ধানের বাজার গত দুই মাস ধরে ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় এক গাড়ি ধান ভাঙিয়ে ব্যবসায়ী বা চাতাল মালিকদের ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে। ব্যবসায়ী সাদেক বিশ্বাস জানান, লোকসানের আশঙ্কায় কেউই ঝুঁকি নিয়ে ধান ভাঙাতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ঈশ্বরদীর চালের মোকামে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এসব শ্রমিকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী বলে জানা গেছে। গত বুধবার সরেজমিনে জয়নগর এলাকায় গিয়ে চাতাল মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হরতাল-অবরোধ ও পরিবহন সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন এই মোকামে চাল বিক্রি হয়নি। এর মাঝে ভারত হতে চাল আমদানি করে বাজার সয়লাব করা হয়েছে। আমন মৌসুমের ধান এখনও কৃষক ও চাতাল মালিকদের গুদামে মজুদ রয়েছে। এই অবস্থায় ভারত হতে গোখাদ্যের নামে কম দামে চাল আমদানি করায় দেশিয় ধান ও চালের দাম ব্যাপক হারে কমে গেছে।
Discussion about this post