কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে ফের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। এর আগে ৩ জুলাইও একবার গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ফরহাদ মজহারকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ জুলাই ফরহাদ মজহারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেদিন ভোরে শ্যামলীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরবর্তীতে তিনি স্ত্রীকে মোবাইলে ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে।
পুলিশ বলছে, ৩ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ফরহাদ মজহার যে জবানবন্দি দিয়েছেন ও পরে আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার মধ্যে মিল রয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সেসবের সতত্য পাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সকালের দিকে ফরহাদ মজহারকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আব্দুল বাতেন জানান, অপহরণের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেফতার করা গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত।
আব্দুল বাতেনের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা যে অভিযোগ করছেন তা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসত্য তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ফরহাদ মজহার অপহরণের ঘটনাক্রম
ফরহাদ মজহার ও তার পরিবার বলছে, ৩ জুলাই শ্যামলীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরবর্তীতে তিনি স্ত্রীকে মোবাইলে ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্রাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তবে কিভাবে তিনি যশোর পৌঁছালেন বা কারা তাকে সেখানে নিয়ে গেছে সেসব বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।
ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি ঢাকা থেকে স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেন। তবে এখনই এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তাকে ঢাকায় নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Discussion about this post