চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেন।
আদালতে বিইআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিতাস গ্যাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।
এ মূল্যবৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্ববায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে বিইআরসির পক্ষে আপিলে আবেদন করার পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। পাশাপাশি আপিল বিভাগ রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন।
সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষ হয়। বিইআরসি ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম ৭৫০ টাকা, এটা জুনে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৫০ টাকায়।
অন্যদিকে মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ে ৩৮ টাকা। যেটা জুনে বেড়ে ৪০ টাকা হয়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিট প্রতি খরচ ১৪.২০ টাকা, আর জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ বাড়ে ১৭.৪০ টাকায়।
হাইকোর্টে সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ৩৪ ধারা বলা হয়েছে, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাইবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনরূপ পরিবর্তন ঘটে৷ কিন্তু সরকার ২৩ তারিখের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ১ মার্চ ও ২ জুন থেকে দুই দফায় বাড়ানো হয়েছে।
Discussion about this post