ঘুষের ২৫ হাজার টাকাসহ নাটোরের লালপুর উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোমিন আহম্মদকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। আজ বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয় থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
লালপুর থানা ও দুদক সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কহিনুর বেগমের ছেলে চপল হোসেন মায়ের পেনশনের টাকা উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোমিন আহম্মদ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। চপল বিষয়টি রাজশাহীর দুদক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের জানান। দুদকের পরামর্শে চিহ্নিত ২৫টি এক হাজার টাকার নোট নিয়ে চপল হোসেন আজ বুধবার বিকেলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে ওই টাকা দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছদ্মবেশে থাকা দুদক কর্মকর্তারা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাঁকে লালপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম বাদী হয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অভিযানের সময় দুদক রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, উপপরিচালক ফাইয়াজ আলম, উপ-সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন এবং রাশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য দুদক কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। আটক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post