অটোরিকশা চালক মুকুল হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই অটোরিকশা চালক ও তার স্বজনদের চাপের মুখে সেই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
মুকুল হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় বাস করেন।
ভুক্তভোগী মুকুল হোসেন জানান, ভোরে তিনি ধানমন্ডি থেকে যাত্রী নিয়ে কমলাপুরে যাচ্ছিলেন। এ সময় পল্টন বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে অটোরিকশার সঙ্গে রতন নামে এক যুবকের ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশার সামনের কাচ ভেঙে যায়। আহত হন চালক মুকুল ও রতন।
এ সময় মুকুল যাত্রীদের নামিয়ে আহত রতনকে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে রতনকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় সিএনজি চালক মুকুলকে সকাল ৯টায় আটক করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের নায়েক রফিকুল ইসলাম।
মুকুল আরও জানান, পুলিশের নায়েক রফিকুল ইসলাম তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখেন। এ সময় মুকুলের কাছে তিনি টাকা দাবি করেন। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায় তিনি দিতে পারেননি। এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক তার সহকর্মীদের খবর দেন।
খবর পেয়ে তার তিন সহকর্মী ঢামেকে এলে নায়েক রফিকুল ইসলাম তাদের কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। অনেক দেন-দরবারের পর তারা রফিকুলকে ৩ হাজার টাকা দেন। তখন তার হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়।
এ সময় রফিকুল ইসলাম তাদের বলেন, ‘আরও দুই হাজার টাকা রোগীর (রতন) হাতে দিবি। তার চিকিৎসা করাতে হবে।’
মুকুল হোসেন বলেন, ‘আমার গাড়ি পল্টন থানায়। আমি পালাব না। আর যদি পালাতাম তাহলে কী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসি। রফিকুল ইসলাম আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। আরও ভয়ভীতি দেখিয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নায়েক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৩ হাজার টাকা নিয়েছি আহত যুবকের চিকিৎসা করানোর জন্য। এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি তাদের টাকা ফেরত দিয়েছি।’
ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্প পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে নেওয়া ৩ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে রফিকুল। এটা নেওয়া তার ঠিক হয়নি। এ বিষয়টি আমরা দেখবো।
Discussion about this post