ঘূর্ণিঝড় কোমেনের অগ্রভাগ গতকাল বুধবার মধ্যরাতের দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হেনে উত্তর পূর্বদিকে এগিয়ে আসছে। এতে টেকনাফ সদর উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ে সেন্টমার্টিনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ ভোরে সেন্টমার্টিনে গাছের নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তি মারা গেছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে। আজ দুপুরের দিকে এটি চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
Discussion about this post