কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে যুবলীগ-শ্রমিক লীগের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন- চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি তদন্ত) কামরুল আজম, চকরিয়া সৈনিক লীগ নেতা খলিলুল্লাহ, স্থানীয় সাংবাদিক জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি হাসাঙ্গীর হোসেন ও পৌরসভা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে চকরিয়া থানার এক এসআই বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফুটপাতের ফলের দোকানগুলো বন্ধ করতে যান। আর এতে বাধা দেওয়ায় বদিউল আলম নামে এক ফল বিক্রেতা ও তার ছেলে ইমনকে মারপিটের পর আটক করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়ানো চিরিঙ্গা সোসাইটি বায়তুল মাওয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ওই পুলিশ কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যুবলীগ-শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা এসে পুলিশের ওপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে পুলিশ ও যুবলীগ-শ্রমিক লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এ খবর পেয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম, থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর সেখানে গেলে নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ফের চড়াও হয় ও গুলি ছোড়ে।
পুলিশও পাল্টাগুলি ছুড়লে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। এতে আহত হন আরও কয়েকজন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, আহতদের দেখতে রাত ৮টার দিকে চকরিয়া হাসপাতালে থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গেলে তাদের একটি কক্ষে আটকে রাখেন যুবলীগ নেতারা। খবর পেয়ে চকরিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
চকরিয়া থানার (ওসি তদন্ত) কামরুল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তুচ্ছ ব্যাপার থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে।
Discussion about this post