সোসাইটি ফর ক্রিটিকাল লিগ্যাল স্টাডিজ’ (এসসিএলএস) এর আয়োজনে ‘এসসিএলএস স্টুডেন্টস ট্রাইব্যুনাল’ নামে একটি ছায়া ট্রাইবুনাল গঠন করে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চালানো গণহত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে মিয়ানমার সরকারের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের বিচারকার্য শুরু হয়েছে।
আজ ১১ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এই বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের রচয়িতা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এম আমির-উল-ইসলাম। বিচারক হিসাবে আরও উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও আইন বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. বদরুল হাসান কচি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রোহিঙ্গা সংকটকে প্রতিপাদ্য করে মুক্ত আলোচনায় উপরোক্ত বিচারকরা ছাড়াও আরও উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায়, অধ্যাপক ড. রহমান নাছির উদ্দিন ও কমোডোর এস এম মনির, মোঃ আমানুল্লাহ, অ্যাড. আবু তৈয়ব কিরণ, অ্যাড. সাকলান ইমন প্রমুখ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের বাদি-বিবাদী, সাক্ষী ও পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশের প্রায় ২০টির মতো সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
রোহিঙ্গা সংকটকে প্রতিপাদ্য করে ও মায়ানমার সরকারকে অভিযুক্ত রেখেই এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের নিয়ম মেনেই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মামলা ট্রাইব্যুনালে পেশ করবেন।
এই প্রসঙ্গে এসসিএলএস এর সাধারন সম্পাদক তোহফাতুর রাব্বী বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক হলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ সরাসরি এই সংকট মোকাবেলার একটা পক্ষ হয়েছে মানবিক সহায়তা ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা ট্র্যাইবুনাল গঠন করে রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকারের আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে আইনের শিক্ষার্থীদের মতামত ও চিন্তাভাবনা গণ আদালতে পেশ করবো এবং সেটি পুরো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।
বাংলাদেশে এসসিএলএস এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রথমবারের মতো। এর আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গন আদালতে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হয়েছে ।
Discussion about this post