এদিকে গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে চলাচলকারী পরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে পরিবহন সংকট। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। ফলে নগরীতে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে অফিসগামী লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বেশ কয়েকজন পথচারী বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে নেওয়া উচিত হয়নি। একসঙ্গে ৭০ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তা থেকে উধাও হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ। এই সুযোগ নিচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। তারা যাত্রীদের কাছ অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান বলেন,‘ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল সংক্রান্ত হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশন ২২ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে নগরীতে ব্যাটারি রিকশা চলাচলে আর কোন বৈধতা থাকলো না। তাই রিকশা থেকে মোটর ও ব্যাটারি খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। ’
বুধবার সকালে দেখা গেছে, নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২নং গেইট, নিউ মার্কেট, কাজীর দেউড়ি, এনায়েত বাজার মোড়, ওয়াসা, চেরাগি পাহাড় এলাকায় প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল করছে। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশাও দেখা গেছে। রাস্তায় অফিসগামী লোকজনদের জটলা। রিকশা না পেয়ে অনেকে বিকল্প বাহনে ছুটছে গন্তব্যে। অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকায় অনেককে ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি করতেও দেখা গেছে।
কাজির দেউড়ি মোড়ে রিকশার জন্য অপেক্ষারত শারমিন ইসলাম বলেন, ব্যাটারি রিকশায় প্যাডেলচালিত রিকশার তুলনায় কম ভাড়ায় খুব তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছা যায়। কিন্তু ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা।
ব্যাটারি রিকশা চালক আবদুল কুদ্দুস বলেন,‘চট্টগ্রাম শহরে উঁচু-নিচু রাস্তা। প্যাডেল রিকশা টানতে কষ্ট হয়। ব্যাটারি রিকশায় কষ্ট কিছুটা কম। তাই সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে আগ্রহী।’
চলতি বছরের গত ছয় মাসে কমপক্ষে চার দফা ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করেছে নগর পুলিশ। সর্বশেষ গত ১৫ মে ব্যাটারি রিকশা উচ্ছেদ শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু আইনি জটিলতা এবং রাজনৈতিক চাপে পুলিশকে বারবার পিছিয়ে আসতে হয়েছে।
Discussion about this post