আগামী ১ জুলাই সংসদে চূড়ান্ত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে সবকিছু। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলন করে ২৫টি প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি।
নগরীর আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবন-১ এ সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি মো.মাহফুজুল হক।
গত ১ জুন জাতীয় সংসদের অর্থমন্ত্রীর ২০১৭-২০১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের আয়কর বিষয়ক বিভিন্ন প্রস্তাবের আলোকে মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, শুধুমাত্র সংসদে কিছু আইন প্রস্তাব করে এবং সেসব আইন কার্যকর করে সঠিকভাবে কর আদায় করা সম্ভব নয়। কর আদায়ের জন্য জনগণের সুবিধা–অসুবিধাগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করা দরকার। এমন একটি করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে সাধারণ জনগণ স্বেচ্ছায় কর দিতে আসে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদের বিশাল একটি অংশ আসে করদাতাদের কাছ থেকে। আর এই কর আদায়ের জন্য কাজ করেন কর আইনজীবীরা। তারাই সাধারণ জনগণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কর আদায় করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা করে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি করেন। অথচ প্রতিবছর বাজেট পেশ করার আগে রাজস্ব বোর্ড বা অর্থ মন্ত্রণালয় বা সংসদে অর্থমন্ত্রী কখনোই কর আইনজীবীদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কথা বলেন না।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আয়কর আইনের কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের প্রস্তাব নিয়ে যথযথ কর্তৃপক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আরো বলেন– প্রস্তাবিত ২০১৭–১৮ এর বাজেট যেন করবান্ধব হয়, কর প্রদানকারী জনগণ যেন কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং জনগণের কর প্রদানে হয়রানি যাতে লাঘব হয় সেজন্যই আইনজীবী সমিতি এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করছে। কারণ সাধারণ জনগণের মনে এখনো করের প্রতি ভীতি রয়ে গেছে। তিনি কর আইনের ৩০টি বিষয়ে সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের প্রস্তাব করেন।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নতুন করদাতাদের প্রথম বছরে আয়কর রিটার্ন অডিটের আওতামুক্ত রাখা এবং একবার অডিট করা হলে ন্যূনতম ৩ বছর অডিটের আওতা বহির্ভূত রাখা; ‘ব্যবসা বা পেশার প্ররম্ভিক মূলধন ৪ বছরের মধ্যে প্রথম বছরের চাইতে কম হতে পারবে না’, এমন আইন বিলোপ করা; এমপ্লয়িদের আইটি রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতার দায়ভার কোম্পানির উপর বর্তানো অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক, তাই এমন আইন বাতিল করা এবং করবিহীন আয় সীমা নূন্যতম ৩ লক্ষ টাকা করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন সভাপতি মো. শাহজাহান চৌধুরী, মুহাম্মদ আবদুল মালেক, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, আখতার উদ্দিন, জয়শান্ত বিকাশ বড়–য়া, মোহাম্মদ মুছা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, মমিনুল ইসলাম ও সদস্য এরাদাত উল্লাহ এফসিএ প্রমুখ।
Discussion about this post