বিডি ল নিউজঃ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিকাল চারটার দিকে আলাওল হল মাঠে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর ও হুমকি দেয় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। এ নিয়ে ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শিবির কর্মীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলের পেছনে পালিয়ে যায়।
ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ, মোবাইল, দামি ব্যবহার্য জিনিসপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ এফ রহমান হলে হামলা চালিয়ে দেড় শতাধিক কক্ষ ভাংচুর করে। এসময় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলোতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। অসহায় শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন সুরাহা পায়নি।
এ এফ রহমান হলের ২০৬ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘বিকালে একদল ছেলে এসে হল থেকে আমাদের বেরিয়ে যেতে বলে। আমরা বেরিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করার সময় আমাকে ধরে ‘শিবির’ বলে একদল ছেলে মারধর করে। আমি তাদেরকে বার বার বলেছি আমি শিবির করি না। তারা আমার কথা শুনেনি। তারা আমার হাতে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। পরে আমার পরিচিত কয়েকজন বড় ভাই এসে উদ্ধার করেছে।’
কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন,‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর হলের রুমে ডুকে দেখি কক্ষ তছনছ। ব্যাগটা নিয়ে গেছে। ব্যাগে এসএসসি, এইচএসসি’র সার্টিফিকেট ও প্রথম বর্ষের নম্বর পত্র ছিল। বিষয়টি প্রভোস্ট স্যারকে জানিয়েছি। তিনি বললেন, উনার কিছু করার নেই। ’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মামুনুল হক বলেন,‘সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল খেলার মাঠে। হলে ছিল শিবির। তারা ছাত্রলীগের কর্মীকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কক্ষে লুটপাত চালিয়ে শিবিরের ক্যাডাররা পালিয়ে গেছে।’
শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রশিবিরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর সিরাজ উদ দৌলাহ বলেন,‘ফোনে কয়েকজন শিক্ষার্থী এধরণের অভিযোগ করেছে। আমরা বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেছি।’
এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন,‘অনেক ছাত্র অভিযোগ করেছে। ঘটনা সত্য। কিন্তু আমার কি করার আছে। নিজেরাওতো অসহায়। কেউতো কথা শুনছে না। কার কি খোয়া গেছে তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। কিন্তু এটি কতটুকু কার্যকর হবে
Discussion about this post