চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রাণ গেল ৩ জনের। এবার কুমিল্লা, নরসিংদী ও ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট কেন্দ্রে সহিংসতায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে আরো অনেক।
শনিবার দেশের ৪৭ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৩ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ চলাকালে এসব সহিংসতা ও প্রাণহানি ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-
কুমিল্লা: সকাল ৮টার পরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মাধবপুর ইউনিয়নের চানলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাপসচন্দ্র দাস নামের এক যুবককে হত্যা করে। এ সময় আহত হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ আরো ১০ জন।
নরসিংদী: বিকেল তিনটার দিকে নরসিংদী সদরের পাড়াতলী ইউনিয়নে মধ্যনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র এ সংঘর্ষে হোসেন মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন আরো কয়েকজন। নিহত হোসেন মিয়া মধ্যনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে বাধা দেয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক হোসেন মিয়া নিহত হন।
ঠাকুরগাঁও: জেলার বালিয়াডাঙ্গিতে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েকজন। শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালে নিহতের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মাছফুরিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে দুপুরে ভোট চলাকালীন দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মাহবুবুর রহমান পল্টু (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়। পল্টু মাছফুরিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর দেয়া তথ্যমতে, দেশের নবম ই্উনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ, নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে ছয় সহস্রাধিক।
Discussion about this post