চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় রবিবার এই আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ারবলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিলো এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রবিবার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।
Discussion about this post