চাঁদপুরের সেই জেলা জজ মো. মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের মামলার আসামির সঙ্গে টেলিসংলাপ করে অব্যাহতি প্রদানকারী বিভাগীয় মামলা দায়ের হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে পত্রিকায় ‘বিচারক ও আসামির ২২ দফা টেলিসংলাপ’ শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়।<br /> জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা বলেন, চাঁদপুরের জেলা জজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথিপত্র রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে মামলা হবে।<br /> এদিকে খুনের মামলার আসামির সঙ্গে টেলিফোনে একাধিকবার কথা বলে বাপ-ছেলেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার মতো গুরুতর অপরাধ করার পরও ওই জজ এখনও বহাল-তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এ দায়িত্ব পালনের নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।<br /> জানা যায়, ৮ এপ্রিল চাঁদপুরের লিয়াকত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনকালে আসামি মঈনউদ্দিন হোসেন টুনু ও তার ছেলে মো. এহসানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর আগে একই আদালত থেকে তাদের জামিন দেয়া হয়। পরে জেলা জজ ও আসামি এহসানের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের প্রমাণ হাতে পেয়ে মামলার বাদী প্রধান বিচারপতি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। তদন্ত কমিটি ওই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন ১৬ জুলাই ওই বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে বিভাগীয় মামলা তদন্তের জন্য চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ নুরুল হুদাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও ওই মামলা দায়ের হয়নি।<br /> জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর মতলব উত্তর থানাধীন এনায়েতগঞ্জ সাহেব বাজারে আবদুল মান্নানের চায়ের দোকানে পূর্বশত্রুতার জের ধরে লিয়াকত উল্লাহ সরকার নামের এক ব্যক্তি খুন হন। এ সময় তার সঙ্গী মমিন দেওয়ানকে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন মইনউদ্দিন হোসেন টুনু এবং তার ছেলে মো. এহসানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে জ্ঞাত ১৬ এবং অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী হলেন লিয়াকতের ভাইয়ের ছেলে তৌফিক আজিম মিশু। সূত্র-যুগান্তর</p>
Discussion about this post