চাঁদা দাবি মামলায় আট বছরের শিশু রিফাতকে আসামি করায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা আবেদীন এ আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে বলেন, আসামির বয়স যাচাই-বাছাই ছাড়া কেন মামলা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে ওসিকে জবাব দিতে হবে।
রিফাত ধামরাই থানার সুয়াপুর ইউনিয়নের পান্নুর ছেলে। সে সুয়াপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
রিফাতের বাবা পান্নু রোববার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলে রিফাত তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। পূর্বের শত্রুতার জের ধরে তাকে চাঁদা দাবি মামলায় আসামি করা হয়।’
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ওসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একই সঙ্গে শিশু আদালত থেকে রিফাতকে জামিন নেয়ার কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় রিফাতের বয়স ১৮ বছর দেখানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, বয়স যাচাই-বাছাই ছাড়া আট বছরের শিশুকে চাঁদা দাবি মামলার আসামি করায় ধামরাই ধানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে মামলার আসামিরা সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। আসামিরা চেয়ারম্যানকে বলেন, আমরা চালক লীগের অফিস নিয়েছি। সুয়াপুর থেকে শ্রীরামপুরে যেসব সিএনজি চলাচল করবে তাদের কাছ থেকে সিএনজিপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে তিনদিন সময় নেন।
১ আগস্ট আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে চান। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
চাঁদা দাবি ও মারপিটের ওই ঘটনায় এস এম সোহেল মাহমুদ ৪ আগস্ট বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
Discussion about this post