চাঞ্চল্যকর রুশদানিয়া বুশরা হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামিসহ চারজনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলিরুজ্জামান।
খন্দকার দিলিরুজ্জামান বলেন, এ মামলায় আসামিপক্ষ থেকে দুইটি এবং রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুইটি মোট চারটি আপিল হয়েছিল। আদালত আসামিপক্ষের করা আপিল গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১ জুলাই রামপুরার পশ্চিম হাজীপাড়ার নিজ বাসায় খুন হন বুশরা (১৮)। নৃশংস এই ঘটনায় ২ জুলাই রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন বুশরার মা। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর একটি সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয় এ মামলায়। যেখানে বুশরার খালুর সৎভাই আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী ও শ্যালককে অভিযুক্ত করা হয়। প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআইডি ঘটনার তদন্ত করে ২০০০ সালের ১৯ ডিসেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০০৩ সালের ৩০ জুন এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩। রায়ে কাদের, রুহুল ও কবির আহমেদকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ডেথ রেফারেন্সের ক্রিমিনাল আপিল হিসেবে মামলাটি আসে হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি ফজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কাদেরের মৃত্যুদণ্ড ও রুনু বেগমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে বাকিদের খালাস দেন। ২০০৭ সালে এ মামলায় লিভ টু আপিল করা হয়। কাদের ও রুনু তাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে। রাষ্ট্রপক্ষ রুহুল ও কবিরের বিরুদ্ধে আপিল করে।
Discussion about this post