নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদকে চারটি পৃথক মামলায় আরও ২৮ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ জুলাই) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয় শাহেদকে। আদালতে শাহেদের আরও ৪০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬ জুলাই রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
কোভিড ১৯ নমুনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শাহেদকে গত ১৬ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। শাহেদের আরেক সহযোগী ও রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ২৩ জুলাই পুলিশের কাছ থেকে শাহেদকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ শাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নের্তৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য।
পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে এর দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়েছে।
Discussion about this post