বিডি ল নিউজঃ আজ রবিবার ভোর ৬টার দিকে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। চাষী নজরুল ইসলামের মরদেহ রবিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে তার কমলাপুর জসীম উদ্দিন রোডস্থ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চাষী নজরুল ইসলামের মরদেহ দুপুরে ১টা পর্যন্ত তার বাসভবনে রাখার পর ফের ল্যাব এইড হাসপাতাল হিমঘরে রাখা হবে। সোমবার তার গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার সমশপুর গ্রামে মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হবে। বাংলাদেশ ফিল্প ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএফডিসি) তে চাষী নজরুলের মরদেহ নেওয়া হবে কিনা এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের ঘনিষ্টজনেরা।
দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছিলেন গুণী এ নির্মাতা। বিদেশেও চিকিৎসা করানো হয় তাকে। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসার পর কিছুটা উন্নতি হলে ১৭ ডিসেম্বর তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হলে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর ‘আছিয়া’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তিনি ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’র মতে সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘দেবদাস’। ২০১৩ সালে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে আবারও দেবদাস নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ ও ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০০৪ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
Discussion about this post