যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার চিকিৎসক মামুন তার স্ত্রী হাবিবা সুলতানাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এতে হাবিবা সুলতানা আহত হলে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন। পরে ওই দিন তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন পরিবার নিয়ে যশোর শহরের ষষ্ঠিতলা পিটিআই রোডে বসবাস করেন। তিনি যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। সর্বশেষ মামুন অন্য এক নারীকে বিয়ে করতে চাইলে স্ত্রী হাবিবা প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার তিনি হাবিবাকে মারধর করেন। এতে আহত হয়ে হাবিবা সুলতানা যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুর রশিদ জানান, তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল চিকিৎসকের বাসভবন পরিদর্শন করেছেন। আহত হাবিবা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এটা পারিবারিক ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে আমার স্ত্রী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বাড়িতে এসেছিল। আশা করছি মীমাংসা হয়ে যাবে।
Discussion about this post