সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনকারী আহত এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় দায়িত্বরত তিন পুলিশসহ আশুলিয়া থানার ওসিকে আবারও তলব করা হয়েছে। আগামী ৫ জুন হাইকোর্টে তাদের হাজির হতে হবে।
তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩১ মে) হাইকোর্টে হাজির হন আশুলিয়ার ওসি মহসিনুল কাদের। আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি ওই জায়গায় দায়িত্বে ছিলেন না। মেডিকেল সেন্টারে একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও দুইজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে আদালত ওই এসআই ও দুই কনস্টেবলসহ ওসিকে আগামী ৫ জুন আবারও আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
আহত ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে গত সোমবার একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।
পরে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৯ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আশুলিয়া থানার ওসিকে তলব করেন। সে অনুযায়ী ওসি আজ (বুধবার) আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালতে আজ ওসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।
ওই দিন আদালত ওসিকে তলব করার পাশাপাশি রুলও জারি করেছিলেন। রুলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয় এবং সংঘর্ষে অনেকে আহত হন।
Discussion about this post