সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী আহত এক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানোয় আশুলিয়া থানার ওসি-এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা এই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে ওসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।
এই চার পুলিশ সদস্য হলেন- আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন কবির এবং পুলিশের অন্য তিন সদস্য হলেন, নাহিদ, সেন্টু ও হালিম।
এর আগে গত ২৯ মে অসুস্থ নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানার ওসিসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের স্বপ্রণোদিত হয়ে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অসুস্থ নাজমুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছিল। সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত ওই রুল জারি করেছিল। সংবাদপত্রে প্রকাশ করা প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতে নজরে আনেন আইনজীবী এসএম রেজাউল করিম।
ওইদিন (২৯ মে) স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসিকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হন ৪২ শিক্ষার্থী। পরে অবশ্য ৪২ শিক্ষার্থীর জামিনও হয়।
Discussion about this post