টাইগারদের বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হিথ স্ট্রিক। না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হালসাল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ থেকে সরে যাচ্ছেন এই দুজন। দুই কোচের জায়গা পূরণ করতে অবশ্য সময় পার করছে বিসিবি। কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে আলোচনার মূলে এখন হেড কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়ে ১ জুন সিডনি থেকে ঢাকায় আসার কথা তার। চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বৈঠক করবেন বিসিবির সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে নতুন মেয়াদে চুক্তি বাড়াতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত কোচ। শর্ত থাকা সত্ত্বেও বিসিবি চাচ্ছে পরবর্তী দুই বছর মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকের দায়িত্বে থাকুন চন্ডিকা হাতুরাসিংহে।
২০১৪ সালের জুনে দায়িত্ব নেন মাশরাফিদের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে সাফল্য পাননি। হেরে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের সিরিজেও ব্যর্থ হন। টানা দুই সিরিজ হারের পর অনেকেই ভ্রু কুচকে ছিল। সমালোচনা করেছিল বিসিবির। কিন্তু বোর্ড আস্থা রেখেছিল হাতুরার ওপর। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন কোচ ২০১৫ সালে। ২০১৪ সালে ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে সাফল্যের পথে যাত্রা করে টাইগাররা। এরপর ২০১৫ সাল ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বছর। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তিকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অর্জন। এরপর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ এবং ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় প্রথমবারের মতো। বছর শেষ করে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। সব মিলিয়ে হাতুরাসিংহের কোচিংয়ে মাশরাফিবাহিনী ৩০ ওয়ানডে খেলে জয় পায় ১৮টিতে। হার মাত্র ১০টি। খেলা হয়নি দুটিতে। টি-২০ ক্রিকেটে সাফল্যের হার অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে। সব মিলিয়ে ২২ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হার ১১টিতে। টেস্টে সাফল্যের হার সমানে সমান। ১০ টেস্টে তিন জয়ের বিপক্ষে হার তিনটি। পরিসংখ্যান বলছে সফল কোচ হাতুরাসিংহে।
সফল কোচকেই আরও দুই বছরের জন্য চাচ্ছে বিসিবি। বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী এমনই বললেন, ‘আমরা নতুন করে চুক্তি নবায়ন করতে চাচ্ছি হাতুরাসিংহের সঙ্গে। আমরা চাচ্ছি দুই বছরের জন্য। অবশ্য তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন, জানিয়েছেন। ঢাকায় আসার পর তার কথা শোনা যাবে।’
Discussion about this post