নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের ৮৯ নম্বর সড়কের একটি ফ্লাটে বাস করতেন রিচার্ড হাবার্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিকের ঢাকায় ‘নর্থ অ্যান্ড কফি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। করোনাকালে সেটি বন্ধ থাকায় ফিরে গেছেন নিজ দেশে।
গুলশানের ফ্ল্যাটটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকায় শনিবার দেখতে পান অন্যরকম এক দৃশ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে- তার ঘরে হাঁটাহাঁটি করছে এক যুবক। আবার ফ্রিজ থেকে খাবার ও ওয়াইন নিয়ে টেবিলে রেখে নাচানাচি করছে। যে দৃশ্য দেখে অবাক হন হাবার্ড। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান তার বাংলাদেশি সহকর্মীকে।
পরে রাতেই গুলশান থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল ফ্লাটটিতে প্রবেশ করে। কিন্তু কাউকে না পেলেও টেবিলের ওপর কিছু রান্না করা খাবারভর্তি কড়াই, জুসের প্যাকেট ও ওয়াইনের বোতল দেখতে পায়। ঘরগুলো তল্লাশির একপর্যায় পুলিশ বুঝতে পারে ফ্লাটে কেউ একজন আছে। এরপর বেডরুমের একটি টয়লেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চোর মাসুমকে। গত বুধবার বা বৃহস্পতিবার সে ফ্লাটটিতে ঢুকেছিলো।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, মাসুম মাদকাসক্ত এবং পেশায় চোর। গ্রেপ্তারের পর সে (মাসুম) জানিয়েছে- চুরির জন্যই ফ্লাটটিতে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সেখানে প্রচুর খাবার থাকায় চুরির কথা ভুলে যান। এরপর ফ্লাটে অবস্থান করে তিনদিন। এর আগেও মাসুদ গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ফ্লাটের মালিক বিদেশে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারেননি। পূর্বের একটি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post