চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের চক্ষু বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিউটের পরিচালক।
আজ সোমবার (০২ এপ্রিল) সকালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম। একই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি আসবে চুয়াডাঙ্গায়।
অন্যদিকে, চোখ তুলে ফেলার ঘটনার পর সকালে অসুস্থ অবস্থায় সফিকুল ইসলাম নামে এক রোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য রোগীদেরও শারীরিক অবস্থা কিছুটা অবনতির দিকে বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জনের গঠিত তদন্ত টিমের প্রতিবেদন সোমবার জমা দেয়ার কথা থাকলেও তদন্ত কাজ শেষ না হওয়ায় জমা দিতে পারেনি। প্রতিবেদন জমা দিতে আরও বেশ কিছু দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. শফিউজ্জামান সুমন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে গত ৫ মার্চ ২৪ রোগীর চোখে ছানির অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন তারা। ২০ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে ২০ নারী-পুরুষের ইনফেকশনের চোখগুলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল থেকে তুলে ফেলতে হয়েছে। অরোব্লু নামক ভারতীয় একটি ওষুধের ব্যাকটেরিয়া থেকে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতাল কর্তপক্ষের ধারণা।
গত বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একই দিন হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করেন।
Discussion about this post