গাইবান্ধার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে দু’পক্ষের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটও অব্যাহত রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য পিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ২৪ জনের নামসহ আরও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-জেলা শহরের মহুরীপাড়ার এবরাজ মিয়ার ছেলে সোহেল (২৬) ও ছোত্তা মিয়া (২৪), একই এলাকার মৃত নবির উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. আবদুল লতিফ (৩৪) এবং ছাব্বির শেখের ছেলে রনি মিয়া (২৯)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মারপিট ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
অপরদিকে, চেম্বারের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর ও শ্যামলী পরিবহনের একটি কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলা শহরে পরিবহন ও দোকানপাটে ধর্মঘট চলছে। জেলা ট্রাক, ট্রাংক লরি কাভার্ডভ্যান পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও দোকান মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ধর্মঘটের কারণে জেলা শহর থেকে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া শহরে দোকানপাট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সাধারণ সভায় সদস্যদের কথা বলতে না দেওয়ার জের ধরে কয়েক দফা সংঘর্ষ, অফিস ও কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৮জন আহত হন। পরে দু’পক্ষই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
Discussion about this post