নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নতুন দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই নতুন দিন ধার্য করেন। আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ছিল। তবে আদালত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে জামিন শুনানি শুনতে চেয়েছেন। সেজন্য নতুন করে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করবেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে থাকবেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ওই আবেদনের শুনানির জন্য গত ১৭ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।
পরে ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
পরবর্তী সময়ে ১১ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন ফেরত দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড পেয়ে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়।
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সে আবেদন এখনও আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।
Discussion about this post