র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানীর হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া নিহত হওয়ার পর এবার র্যাব-২ এর পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার র্যাব-২ এর এই পরিচালককে বদলি করা হয়। গতকালই নিহত আরজু মিয়ার ভাই মাসুদ রানা র্যাব-২ এর পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন। এর আগে ওই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পরদিন ১৮ আগস্ট হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলামকে বদলি করা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আজ সোমবার বলেন, গতকাল (রোববার) লে. কর্নেল মাসুদ রানাকে র্যাব-২ থেকে বদলি করে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, ১৭ আগস্ট হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় র্যাব। তাঁকে হত্যা করে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে লাশ ফেলে রাখা হয়। র্যাব ১৯ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আরজু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৭ ও ১৮ আগস্ট ঘটনাস্থলে কোনো ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেনি। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আরজুকে তুলে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। রাজধানীর হাজারীবাগে চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া গত ১৭ আগস্ট ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন বলে দাবি করেছে র্যাব।
Discussion about this post