প্রতারণা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমালোচিত শরীয়তপুরের সেই ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হওয়ার দেড় মাস পর মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে গোসাইরহাট ট্রলারঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভেদরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজল পাল বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোসাইরহাট থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে। আরিফ এতদিন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় পালিয়ে ছিল। আজ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকা থেকে শরীয়তপুর আসার পথে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার ট্রলারঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
শরীয়তপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই আরিফ পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমাদের তিনটি দল তাকে ধরার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিল। অবশেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার এলআইসি’র সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকালে আরিফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’
উল্লেখ্য, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাওলাদার গোপনে একাধিক মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করে। পরে ওইগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এসব ধর্ষণের ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ করে রাখে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনার শিকার নারীরা এসব কথা কাউকে না বললেও সম্প্রতি ওই সব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ ভেদরগঞ্জ থানায় আরিফের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ছাত্রলীগ নেতা আরিফ পলাতক ছিল।
বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post