ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় রায়ের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ দিন ধার্য করেন।
অভিযোগ প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিল্লুর রহমান তালুকদার মিডিয়াকে বলেন, বাদীপক্ষ মামলা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তারা আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মর্মে আশা করছেন।
২০১৩ সালের ২২ আগস্ট রুদ্ধদ্বার কক্ষে ধর্ষিতা ছাত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এর আগে ধর্ষিতার মাও এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
ভিকাররুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা দিবা শাখার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা মাহমুদুল হক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রথমে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথমে ধর্ষণ করেন শিক্ষক পরিমল। এ সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ১৭ জুনও ধর্ষণ করা হয়।
মামলার পর ২০১১ সালের ৬ জুলাই পরিমল জয়ধরকে কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর অধিকতর তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবে খোদা ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখা প্রধান লুৎফর রহমান ও অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে শুধুমাত্র পরিমল জয়ধরকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ৭ মার্চ পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরিমলের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া।
Discussion about this post