বাংলাদেশ ভারত, দুই দেশের ছিট মহলের বাসিন্দারা কোন দেশে থাকতে চান, সে ব্যাপারে তাদের ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে কিভাবে এই আবেদন করা যাবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বৈঠক করে নাগরিকত্ব দেয়ার প্রশ্নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রক্রিয়াগুলো নির্ধারণ করবে।
এদিকে ছিটমহলের বাসিন্দাদের সমন্বয় কমিটির নেতারা বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের পর ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় শুরু করার কথা বলা হলেও সেই লক্ষ্যে কোন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হয়। এর পরই দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৩১শে জুলাই মধ্যরাত থেকে ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এর আগে প্রশাসনিক কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলোও হতে হবে দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে।
ছিটমহল বিনিময়ের ব্যাপারে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম। তিনি বলছিলেন, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এখন প্রথম ধাপে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বৈঠক করে দুই দেশে কিছু ছিট মহল পরিদর্শন করবে। এ সময় ছিটমহলবাসির কাছে প্রক্রিয়াগুলো তুলে ধরবেন।
ভারতের ১১১টি ছিটমহল পাচ্ছে বাংলাদেশ। আর ভারত পাচ্ছে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল।কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতির জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করতে এখন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের অপেক্ষায়।
জেলা প্রশাসন এখনো অন্ধকারে
বাংলাদেশের যে জেলাগুলোতে ছিটমহল রয়েছে, সেই জেলাগুলোতে প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নির্দেশনা পায়নি। ছিটমহলে বাসিন্দাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সমন্বয় কমিটির একজন নেতা গোলাম মোস্তফা বলেছেন, বাংলাদেশের অংশে ছিটমহলে আনুষ্ঠানিক কিছু শুরু না হলেও প্রশাসন অনানুষ্ঠানিকভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম জানিয়েছেন, ছিটমহলের বাসিন্দারা কে কোন দেশে থাকতে চান, সেটা বাছাই করাই এখন তাদের প্রধান কাজ। সেজন্য ৩১শে জুলাই পর্যন্ত আবেদনের সময় থাকবে।
যারা ভারতে যেতে চাইবে এবং ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে আসতে চাইবে, এই যাওয়া আসার প্রক্রিয়া ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে।
বাংলাদেশের ভিতরে ১১১টি ছিটমহলের অল্পসংখ্যক পরিবারই ভারতে যেতে চায় বলে কর্মকর্তারা ধারণা পেয়েছেন।
এছাড়া যারা বাংলাদেশেই থাকতে চান, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারেও প্রক্রিয়া রয়েছে। এ বিষয়গুলোও যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে ঠিক করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।বিবিসি
Discussion about this post